খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও কমেছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে খালি রয়েছে ৭৭ শতাংশ শয্যা। এর মধ্যে টানা ছয় দিন রোগীশূন্য রয়েছে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা ইউনিট। ফলে রোগী না থাকায় হাসপাতালটির ৮০ শয্যার করোনা ইউনিট আর থাকছে না। ফিরে যাচ্ছে আগের রূপে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘রোগী না থাকায় খুলনা জেনারেল হাসপাতাল আগের মতোই সাধারণ রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু হবে। আর সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) থেকে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।’ করোনা হাসপাতালগুলোর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, খুলনায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি সরকারি ও দুটি বেসরকারি। এসব হাসপাতালে রোগীদের জন্য রয়েছে ৫৬৫ শয্যা। এর মধ্যে ৮০ শয্যার খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগী নেই। আর খুলনার বাকি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি রয়েছে ১২৮ জন। এর মধ্যে খুলনা ২০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ৭০ জন, ৪৫ শয্যার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১৯ জন, ৯০ শয্যার খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন এবং ১৫০ শয্যার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আর খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিট সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। গত ছয় দিন কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। এর আগে ২০ জুন করোনায় আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে খুলনা সদর হাসপাতালে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে রোগীর চাপ আরও বাড়লে ৮০ শয্যায় পরিণত করা হয়। খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ছয় দিন করোনা ইউনিটে কোনো রোগী হয়নি। গত ২৮ আগস্ট সকাল পর্যন্ত চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন। সর্বশেষ ২৯ আগস্ট সেই চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ওই দিন থেকেই রোগীশূন্য রয়েছে হাসপাতাল। ফলে হাসপাতালে আগের মতোই সাধারণ রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ শতাংশ। আর মারা গেছেন দুইজন। এদিকে, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা ও মহানগর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, করোনা আক্রান্ত রোগী কমে যাওয়ায় খুলনা জেনারেল হাসপাতাল আর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল থাকছে না। এখানে আগের মতোই অন্যান্য সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবা চালু করা হবে। নগরীর দোকান, মার্কেট ও যানবাহনে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হবে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।